menu 2

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

Sunday, May 11, 2025

২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ও যুদ্ধবিরতি: একটি বিশ্লেষণ

ভূমিকা:

২০২৫ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ ছিল উপমহাদেশের ইতিহাসে আরেকটি রক্তাক্ত অধ্যায়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা ৬ মে থেকে পূর্ণমাত্রার সংঘাতে রূপ নেয়। তবে, ১০ মে বিকেল ৪:৩০ (পাকিস্তান সময়) / ৫:০০ (ভারতীয় সময়) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও এই শান্তিপূর্ণ মোড় নেওয়ায় ভূমিকা রেখেছে বলে জানানো হয়।


সংঘাতে অংশগ্রহণকারী পক্ষসমূহ:
ভারত:

  • সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সক্রিয় অংশ নেয়।
  • “অপারেশন সিন্দুর” নামের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

পাকিস্তান:

  • সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সমন্বিতভাবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
  • ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে একাধিক যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে।

অন্যান্য প্রভাবশালী পক্ষ:

  • যুক্তরাষ্ট্র: অস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উভয় দেশকে প্রভাবিত করে।
  • ইসরায়েল: ভারতের পক্ষ অবলম্বন করে।
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত: শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানায়।
  • চীন: পাকিস্তানের মিত্র হিসেবে কৌশলগত সমর্থন প্রদান করে।

ক্ষয়ক্ষতি ও প্রভাব:
ভারত:

  • সামরিক ক্ষতি:

    • ১৩টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে (তিনটি রাফায়েলসহ)
    • ২০০টির বেশি ড্রোন ধ্বংস
    • ১০০+ সেনা নিহত, বহু সেনা আটক
    • প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার সামরিক ক্ষতি
  • অর্থনৈতিক প্রভাব:

    • ভারতীয় রুপির মান ৪৫% পর্যন্ত হ্রাস
    • প্রযুক্তি খাতে ৯০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
  • বেসামরিক ক্ষতি:

    • ৭ জন নিহত (কাশ্মীরে পাকিস্তানের হামলায়)
  • ভূখণ্ড:

    • পাকিস্তান দাবি করেছে, ৮০ কিমি কাশ্মীর দখল করেছে (স্বাধীনভাবে যাচাই হয়নি)

পাকিস্তান:

  • সামরিক ক্ষতি:

    • ভারতের দাবি অনুযায়ী, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে
    • পাকিস্তান দাবি করে, ভারতের ২–৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে
  • বেসামরিক ক্ষতি:

    • ৩১ জন নিহত, ৩৫ জন আহত (ভারতীয় হামলায়)
  • অর্থনীতি:

    • ৭৭% রাজস্ব যুদ্ধ ব্যয়ে খরচ হওয়ায় অর্থনীতি দেউলিয়া হওয়ার পথে
  • অবকাঠামো:

    • মুজাফফরাবাদে বিস্ফোরণ ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট

কে এগিয়ে ছিল?

  • সামরিক দিক থেকে:
    উভয় পক্ষই শক্ত প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের সক্ষমতা দেখিয়েছে। পাকিস্তান ভারতের তুলনায় বেশি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করলেও, এর নিরপেক্ষ যাচাই হয়নি।

  • ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ:
    পাকিস্তান কাশ্মীরের ৮০ কিমি অংশ দখলের দাবি করলেও, এটি সত্য কিনা তা অস্পষ্ট।

  • অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট:
    দুই দেশই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক বেশি নাজুক। কূটনৈতিকভাবে ভারত ইসরায়েলের সমর্থন পেলেও, অন্যান্য শক্তিগুলো নিরপেক্ষ থেকেছে বা উভয় পক্ষকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।


উপসংহার:
২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘাত একটি অনির্ধারিত যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। কারো পক্ষেই এটি নিশ্চিত বিজয় বয়ে আনেনি, বরং দুই দেশের জন্যই এটি ছিল এক বিপর্যয়কর অভিজ্ঞতা। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলেছে, তবে ভবিষ্যতে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আঞ্চলিক সহনশীলতা জরুরি।


এই ব্লগ পোস্টটি চাইলে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের ব্লগ সেকশনে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আমি এটি HTML বা ওয়েব-ফরম্যাটে সাজিয়েও দিতে পারি। আপনি কি সেটি চান?

Wednesday, May 7, 2025

দেশবাসীকে বারবার ভয় দেখিয়ে সত্য আড়াল করা হয়—এটাই এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা!


৫ আগস্ট রাতে একটা গুজব ছড়ানো হয়েছিল—ভারত বাংলাদেশ দখল করে নিচ্ছে, ভারতীয় আর্মি সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে।
মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই খবর।
কিন্তু আমি তখনই লিখেছিলাম—“ইন্ডিয়ান আর্মি ঢোকেনি, দখল হয়নি, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
অনেকে গালাগালি করেছিল, বিশ্বাস করেনি।
আজ প্রমাণ হয়ে গেছে, সত্যি কথা ছিল সেটা।
আমি সব বিষয়ে মত দিই না। শুধু তখনই বলি, যখন নিশ্চিত থাকি।


বন্দর নিয়ে এখন নতুন খেলা চলছে।
১৭ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ কিছু কোম্পানি হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে।
তাদের এই লুটপাটে এখন যুক্ত হচ্ছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এমনকি বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের আড়ালে থাকা চট্টগ্রামের কিছু প্রভাবশালীও।

আমার আগের পোস্টে জানিয়েছিলাম কীভাবে শেখ রেহানার ক্যাশিয়ার বন্দরকে “খেয়ে” ফেলেছে।
এখন সেই বন্দরের একটি টার্মিনালে সৌদি আরব প্রবেশ করেছে, এবং আরব আমীরাত ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনায় রয়েছে।

ডিপি ওয়ার্ল্ড (DP World) নামের একটি সংস্থা এখানে ব্যবসা করতে আসবে।
এই সংস্থাটি বিশ্বের ৭৯টি দেশে অপারেশন চালায়, বছরে প্রায় ৭০,০০০ ভেসেল এবং ৭ কোটি কন্টেইনার হ্যান্ডেল করে।
বিশ্ব কন্টেইনার ট্রাফিকের ১০% ডিপি ওয়ার্ল্ড একাই নিয়ন্ত্রণ করে।


এখন প্রশ্ন: ডিপি ওয়ার্ল্ড এলে কি বাংলাদেশে মার্কিন ঘাঁটি হবে?
এটা একেবারে ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর দাবি।
ডিপি ওয়ার্ল্ড যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, থাইল্যান্ডসহ বহু দেশে কাজ করে।
সব দেশেই কি তাহলে ইউএস মিলিটারী বেইস আছে?

এই গুজব ছড়ানোর পেছনে যারা আছে, তারা চায় না দুর্নীতি বন্ধ হোক।
কারণ—

বন্দরের কর্মচারী, যার বেতন ২ লাখ টাকা, সে ১০-২০ লাখ টাকা পাচ্ছে ঘুষ হিসেবে।
ঝাড়ুদারও কোটিপতি হয়ে গেছে।
এই অবৈধ টাকা দেয়ার পেছনে কোম্পানিগুলোর লস নেই—কারণ তারা প্রতিদিন শত কোটি টাকা চুরি করে।


ডিপি ওয়ার্ল্ড আসলে কী হবে?

  • বাংলাদেশের রপ্তানি সরাসরি ৩৬টির বেশি দেশে যাবে।
  • সিঙ্গাপুর হয়ে ঘুরে যেতে হবে না—সময় ও টাকা বাঁচবে।
  • আন্তর্জাতিক মানে পোর্ট পরিচালনা হবে।
  • দুর্নীতি কমবে, স্বচ্ছতা বাড়বে।

আমরা চীনকেও দিয়েছি মহেশখালী মাতারবাড়ী ডিপ সী পোর্ট।
তাহলে আরব আমীরাতকে নিয়ে এত আপত্তি কেন?
কারণ তারা চায় না, দেশে একটা স্বচ্ছ ও লাভজনক পোর্ট ম্যানেজমেন্ট চালু হোক।


আমি বিদেশী বিনিয়োগে না, বরং লুটপাটে আপত্তি করি।
যারা বিদেশী বিনিয়োগ মানেই দেশবিরোধী মনে করে, অথচ নিজেরা লুটের টাকা পাচার করে সেই বিদেশেই, তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।
আরব আমীরাত ব্যবসা করতে এলে সেটা লাভজনক হলে আমাদের দেশে রেমিট্যান্স আসবে, কর্মসংস্থান হবে, বন্দরের উন্নয়ন হবে।

বন্দর আমার দেশের সম্পদ—একটি রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
তাই যারা বিদেশী বিনিয়োগের বিরোধিতা করে দুর্নীতিকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করাই স্বাভাবিক।


বাংলাদেশ কারো ভিক্ষায় চলবে না, আবার কারো পকেটেও যাবে না।
স্বার্থ নিয়ে ভাবুন, গুজবে নয়—তথ্যে ভরসা রাখুন।


আপনি চাইলে এই লেখাটির একটি ইনফোগ্রাফিক বা সংক্ষিপ্ত ভিডিও স্ক্রিপ্টও তৈরি করে দিতে পারি। আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করবেন—ফেসবুক পেইজ, প্রোফাইল না ইউটিউব?

Wednesday, February 19, 2025

মিলাদে জাগে প্রেমের জোয়ার

 

()

সাইয়্যেদি ইয়া রাসুলুল্লাহ, ইয়া হাবিবাল্লাহ,

নূরের মশাল হাতেতে নিলেন,

 উম্মতের পথ দেখালেন,

প্রেমেরই চাদরে মোড়ালেন,

আমাদের প্রাণও জুড়ালেন।

 

ইয়া নবী সালাম আলাইকাইয়া রাসুল সালাম আলাইকা

ইয়া হাবীব সালাম আলাইকাসালাওয়া তুল্লাহ আলাইকা॥

()

সাইয়্যেদি ইয়া রাসুলুল্লাহ, ইয়া হাবিবাল্লাহ,

তোমার প্রেম হৃদয়ে জ্বালি,

সে আলোয় ছুটে যে চলি,

মিলাদে আজ উঠিলো ধ্বনি,

আপনি যে গোলামে গনী।  

 

 

ইয়া নবী সালাম আলাইকাইয়া রাসুল সালাম আলাইকা

ইয়া হাবীব সালাম আলাইকাসালাওয়া তুল্লাহ আলাইকা॥

()

বদরের চাঁদ, মেরাজের মান,

জগতে সব আপনারই শান

দুনিয়ার রহমতের আঁধার,

রাসূলগো আপনি জানেরই জান।

 

ইয়া নবী সালাম আলাইকাইয়া রাসুল সালাম আলাইকা

ইয়া হাবীব সালাম আলাইকাসালাওয়া তুল্লাহ আলাইকা॥

()

আসলো মোবারক মিলাদ রাত,

ছড়িয়ে নূরেরই আলো ,

হৃদয় ভরে পড়গো দরুদ,  

নবীপ্রেম হৃদয়ে জ্বালো।

 

ইয়া নবী সালাম আলাইকাইয়া রাসুল সালাম আলাইকা

ইয়া হাবীব সালাম আলাইকাসালাওয়া তুল্লাহ আলাইকা॥