সমগ্র পৃথিবীতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াতে শুরু করেছে ৯/১১ এর পর থেকে। এখন মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসী বানানো, খলনায়ক হিসাবে প্রচার অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে যতটা কাচা হাতের লেখা স্ক্রীপ্ট আপনি চালান না কেন তা চলবেই। এটাই হচ্ছে গত ১৫ বছরে ৯/১১ এর সফলতা। আমি বলছিনা আমাদের মধ্যে আজ কোনো খারাপ লোক নেই; অবশ্যই আছে আর তারা সবাই ৯/১১ এর কুশীলব দের হাতের তৈরী পুতুল।
এবার আসি ৯/১১ এর পটভূমিতেঃ আমেরিকার জন্মলগ্ন থেকে তাদের রাজনীতিতে ইহুদী লবির শক্তিশালী প্রভাব ছিলো যা আজ অবধি আমেরিকার রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, সহ সকল ক্ষেত্রে বিদ্যমান।একটি বড় ঘটনা ঘটনা ঘটনা ঘটে যখন বুশ আমেরিকার প্রেসিডেণ্ট প্রার্থী হন।তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলগোর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কট্টর ইহুদি লিবারম্যানকে মনোনীত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন অখ্রিষ্টান প্রার্থী হন। নিশ্চিতভাবে আমেরিকান ইহুদিদের সব ভোট আলগোরের পাল্লায় যাচ্ছে।
সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে একটি বিশেষ কৌশল নেওয়াহয় যা হলো, সংখ্যার দিক থেকে সদ্য ইহুদীদের টপকে যাওয়া মুসলিমদের ভোট ব্যাঙ্ক ব্যবহার।আর ঠিক এই সময়ে হোয়াইট হাউজে খ্রিষ্টান ও ইহুদি এ দুই ধর্মের পতাকার সাথে চাঁদ-তারা পতাকা ওঠানো হয়। স্বাধীনতার পর হোয়াইট হাউজে খ্রিষ্টান ও ইহুদি এ দুই ধর্মের পতাকা উড়ত।
আমেরিকায় দ্রুত বেড়ে চলা ধর্ম হওয়ায় মুসলমানদের সমাজে বিব্রত অবস্থায় ফেলতে বা কোণঠাসা করার মানসে তখন আইনে প্রয়োগ করা হয় Secret evidence। এই গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে মুসলমানদের জেলে ঢোকানো হতো। আর এই Secret evidence-এর প্রয়োগ শুধু মুসলমানদের ক্ষেত্রেই দেখা যেত। এখানকার সব আমেরিকান মুসলিমদের একমাত্র দাবি ছিল এটির অবসান। বুশের নির্বাচনে জেতার জন্য দরকার ছিল মুসলিম ভোট। তিনি এ সুযোগটি কাজে লাগান। আলগোরের সাথে জাতীয় নির্বাচনী বিতর্কে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিক্রেট এভিডেন্সকে তিনি ডিসক্রিমিনেটরি তথা (পক্ষপাত/ বৈষম্যমূলক) মনে করেন। আলগোর জবাবে বললেন, তিনি তা মনে করেন না। বাস্তবে ঐতিহাসিকভাবে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জাতীয় নির্বাচনী বিতর্কে এই প্রথম মুসলমানদের পক্ষে কথা বললেন। তার বিনিময়ে আমেরিকান মুসলমানেরা এক জোট হয়ে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে বুশের পক্ষ নেন। দরজায় কড়া নেড়ে শেষে ইহুদি লবির বিপরীতে বুশকে বিজয়ী করেন। আগে মুসলমানেরা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে ভোট দিতেন; জোটবদ্ধভাবে এক পাল্লায় এবারই প্রথম। নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে ইনভেস্টরস ডেইলি এক নিবন্ধে মন্তব্য করে- আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা বিজয়ের চেয়ে বেশি ছিল।মুসলিম আমেরিকান ভোটে বিজয়ী বুশ উপলব্ধি করলেন- এভাবে চললে একদিন মুসলমানেরা ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটব্যাংকই মূল ক্ষমতা। দ্রুত বেড়ে ওঠা ধর্ম ইসলামকে ঠেকাতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
তখন বুশ প্রশাসন ঘটায় ৯/১১ এর অঘটন। ব্যবহার করে তাদেরই নিজেদের প্রয়োজনে তৈরীকৃত সেভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র উসামা বিন লাদেনের নাম। চরম সফলতার সাথে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয় ক্রুসেড শুরু করার পক্ষের জনমত কে।
অনেকেই এই ভয়াবহ হামলার ব্যাপারে মত দিয়েছিলেন যে উসামা বিন লাদেনের পক্ষে আফগানিস্থানে বসে এই হামলা চালানো সম্ভব নয়। এটা ভেতর থেকেই চালানো হয়। যেমনটি দাবী করা হয় একটি ডকুমেণ্টারীতে।
১. প্রথম প্রশ্ন আসে যে ঐ সময়ে বিল্ডিং-৭ কেন একই ভঙ্গিতে ভেঙ্গে পড়লো। টুইন টাওয়ার কম্পাউন্ডে মোট ৭টি বিল্ডিং ছিল। এর মধ্যে টুইন টাওয়ার দুটি এবং বিল্ডিং-৭ মোট ৩টি বিল্ডিং একই ভঙ্গিতে ভেঙ্গে পড়ে। বিল্ডিং-৭ ভেঙ্গে পড়ে আরও ৫/৬ ঘন্টা পরে। এটাতে কোন বিমান আঘাত করেনি, তাই জেট ফুয়েল বা অন্য অযুহাত খাটে না। তবে এই বিল্ডিং-এ গোয়েন্দা সংস্থার অনেকগুলো অফিস (এবং ওয়াল স্ট্রীটের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট রক্ষিত) ছিল।
২. বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার মেকানিজমে বলা হয়েছে - অত্যন্ত তাপে স্টীল স্ট্রাকচার ফেইল করে। একটা ফ্লোর আরেকটার উপরে ভেঙ্গে পড়ে আর এভাবে ধারাবাহিকভাবে পুরা দালান ভেঙ্গে পড়ে।
- এটার বিরূদ্ধে প্রথম যুক্তি হচ্ছে: পুরা বিল্ডিং দুইটা মোট ১১ ও ৯ সেকেন্ডে ভেঙ্গে পড়েছে। টুইন টাওয়ারের ছাদ থেকে অভিকর্ষের প্রভাবে কোন বস্তু পড়লেও সেটা মাটিতে পৌছাতে একই সময় লাগবে। অর্থাৎ পুরা ভবনটি মোটামুটি ফ্রী-ফল বা মুক্ত ভাবে পড়ার গতিতে নেমে এসেছে। এক ফ্লোর ভেঙ্গে আরেক ফ্লোরের উপরে পড়লে এবং তার প্রভাবে ভাঙ্গলে সময় আরেকটু বেশি লাগার কথা।
- বিরূদ্ধে দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে - জেট ফুয়েলে সৃষ্ট আগুনে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২০০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট হতে পারে, আর স্টীল স্ট্রাকচার ভেঙ্গে পড়তে হলে কমপক্ষে ৩০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রা দরকার (- এই ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত আছে)। এছাড়া ভেঙ্গে পড়ার সময়ও আগুন লাগা ঐ তলাগুলোর জানালাতে মানুষ সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিল। এত তাপমাত্রায় মানুষের বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়ার কথা।
- এছাড়া ভবন দুইটা থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছিল, অর্থাৎ আগুনের তেজ ছিল না কারণ সঠিকভাবে জ্বলা আগুনে ধোঁয়ার রং অন্যরকম হয়।
৩. ঐ তিনটি ভবন ছাড়া আগুন লেগে পৃথিবীতে কোন ভবন সম্পুর্ন ভেঙ্গে পড়েনি। (ভাল কথা ভবন-৭ কেন ভেঙ্গে পড়লো ... ওখানে তো জেট ফুয়েলের ছিটেফোটাও পড়েনি)
৪. ৯/১১ এর সকাল বেলা পর্যন্ত ঐ তিন ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব যে কম্পানির হাতে ছিল, ঐ নিরাপত্তা কম্পানির মালিক কে জানেন কি? জেব বুশ - জর্জ বুশের ছোট ভাই।
৫. মোট ৭টি বিল্ডিং-এর মধ্যে শুধুমাত্র ঐ তিনটিই একজন মালিকের লিজ নেয়া ছিল। এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ঐ তিনটি বিল্ডিং-এর নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন বিলিওন ডলারের ইন্সুরেন্স করা হয়েছিল যার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার একটা বিশেষ ধারা/অনুচ্ছেদ ছিল। বিল্ডিং ধ্বংসের পরে দুটি বিল্ডিং দুটি আলাদা সন্ত্রাসী হামলা এই দাবী দেখিয়ে আদালতের রায় পেয়ে উনি ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন।
৬. ফায়ার সার্ভিসের কথোপকথনের টেপ থেকে জানা যায়, ঐ ভবনগুলোর আগুনের অংশগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী পৌঁছে গিয়েছিল এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে রিপোর্ট করছিল। (- এই টেপ অনেকদিন পর আদালতের নির্দেশে অবমুক্ত করা হয়)
৭. ভবন ভেঙ্গে পড়ার ভিডিওগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে দেখা যায় যে যেই তলা ভাঙ্গছে সেই তলা থেকে বেশ কয়েক তলা নিচের জানালাগুলো থেকে বিষ্ফোরণের ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। (ধারাবাহিক ভাবে)। এছাড়া তাৎক্ষনিক টিভি রিপোর্ট এবং অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের রিপোর্টেও ভবনের ভেতরে প্রচুর বিষ্ফোরণের কথা এবং ক্লিপ আছে - যেগুলো ঐ একবার ছাড়া আর প্রচার হয়নি!
৮. এক তলার উপরে আরেক তলা ভেঙ্গে পড়লে খুব জোরে ছিটকে কিছু বাইরে আসার কথা না। কিন্তু আশে পাশের ভবনে অনেক ভারী বস্তুকে গেথে থাকতে দেখা গিয়েছে যেটা বিষ্ফোরণের শক্তি ছাড়া সম্ভব না। (ছড়িয়ে পড়ার জন্য আনুভুমিক বল আসলো কোথা থেকে)
৯. ভবন ভেঙ্গে পড়ার মোট সময়, নিচের ফ্লোরগুলো থেকে ধারাবাহিক বিষ্ফোরণের ধোঁয়া এবং কেন্দ্রে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে ভেঙ্গে পড়া দেখে বোঝা যায় যে টুইন টাওয়ার এবং ভবন ৭ আগে থেকে পরিকল্পিত ভাবে পুতে রাখা বিষ্ফোরকের সাহায্যে কন্ট্রোল্ড ডিমোলিশনের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। (রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট-এ এ ধরণের ভবন ধ্বংস দেখায় মাঝে মাঝেই - শতকরা ১০০ ভাগ সাদৃশ্য)
১০. এই ঘটনার ফলে লাভবান হয়েছে কারা (মোটিভ?)। এটাকে অযুহাত বানিয়ে দ্রুত জনগণের সমর্থন নিয়ে ইরাক আক্রমণ করা হয়েছে। আর যুদ্ধ মানেই যুদ্ধাস্ত্র ... আর সেগুলো কেনা হয় সমরাস্ত্র কারখানা থেকে --- ওগুলোর মালিক কে? সরকারী কোষাগারের টাকা সহজেই তাদের পকেটস্থ।
১১. ক্রাইসিস সৃষ্টি করে জনগণের সমর্থন আদায়ের কৌশল অনেক পুরানা রাজনৈতীক কৌশল।
১২. যেই বিমানগুলো টাওয়ারে আঘাত করেছিল তাৎক্ষনিক রিপোর্টে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে যে ওগুলোতে কোন জানালা ছিল না। প্রথম আঘাতের মাত্র একটি ভিডিও ফুটেজ আছে তাই পরিষ্কার ছবি দিয়ে সত্যতা যাচাই করা যাচ্ছে না, কিন্তু ২য় আঘাতের বিভিন্ন ক্যামেরার ভিডিও ফ্রেম বাই ফ্রেম দেখলে দেখা যায় যে ঐ বিমানটি স্বাভাবিক কোন বিমান নয়। বিমানের নিচে পেটের মধ্যে বিশাল কিছু একটা লাগানো। এই ধরণের বিমান সেনাবাহিনী রিমোটকন্ট্রোল বিমান হিসেবে ব্যবহার করে ... যার কিছু ছবি দেখলে এই দুইয়ের সাদৃশ্য বোঝা যায়।
১৩. দুইটি বিমান ভবনে আঘাত করার ঠিক আগ মূহুর্তে (সেকেন্ডের ভগ্নাংশ) আঘাত স্থলের ভেতরে বিষ্ফোরণের আলো দেখা যায়। সম্ভবত জেট ফুয়েল প্রজ্জ্বলন নিশ্চিত করার জন্য ওগুলো করা হয়েছে। (911 in plane site)
১৪. পেন্টাগণে আসলেই কোন বিমান আঘাত করেছে বলে মনে হয় না। বিস্তারিত বিশ্লেষন 911 in plane site এবং loose change এ বলা আছে।
১৫. সাজানো ঘটনার মনগড়া রিপোর্ট আগেই ওদের নিয়ন্ত্রনাধীন সমস্ত চ্যানেলে চলে গিয়েছিল। বিবিসির একটা রিপোর্টে রিপোর্টার বলছে ভবন-৭ ও ধ্বসে পড়েছে, কিন্তু তখনও তাঁর পেছনে ভবন-৭ দাঁড়িয়ে ছিল এবং আরও ২০ মিনিট পরে ওটা ধ্বংস হয় wink।
ডকুমেন্টারিটা দেখলে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবেন। বিষ্ফোরণের শব্দ বিশ্লেষন দেখানো আছে -- সেটাতেও বিষ্ফোরণ করানো হয়েছে বোঝা যায়।
ডকুমেণ্টারী ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকে।
http://www.question911.com/linksall.htm
যাদের ইন্টারনেট স্পীড বেশি তাঁরা লুজ চেঞ্জ - গুগল ভিডিও থেকে দেখতে পারেন। এটা ইন্টারনেটে সর্বাধিক দেখা ভিডিওগুলোর একটি।
http://video.google.com/videoplay?docid … 8768610598